পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কাইগ্ৰামে জল সংকট : ক্ষোভ এলাকায়

27th August 2020 8:21 pm বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কাইগ্ৰামে জল সংকট : ক্ষোভ এলাকায়


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মন্তেশ্বর ) : একদিকে করোনার আতঙ্ক অন্যদিকে আবার ট্রান্সফরমার বিকল!  এমনিই পরিস্থিতির মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের মামুদপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকায় তৈরী হয়েছে পানীয় জলের সংকট।কারণ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পিএইচই জল প্রকল্পটি।স্বাভাবিক কারণেই সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষজন।এই ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ও মাথায় হাত পড়েছে তাদের।স্থানীয় পন্চায়েত ও প্রশাসনকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।যদিও পন্চায়েতের দাবি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।
                   মন্তেশ্বরের মামুদপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার কাইগ্রাম,রাউৎগ্রাম ও মাসডাঙ্গার বাসিন্দাদের অভিযোগ ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় গত তিনদিন ধরে পিএইচই-র জলপ্রকল্পটি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।স্বাভাবিক কারণেই পাণীয় জলের চরম সংকট তৈরী হয়েছে ওই এলাকায়।তাদের বক্তব্য এই জলপ্রকল্পটি থেকে বাড়িতে বাড়িতে সংযোগ থাকায় বাড়ির টিউবওয়েলগুলোও সেইভাবে আর চালু নেই।স্বাভাবিক কারণেই উপরিউক্ত তিনগ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই জলপ্রকল্পের উপর নির্ভরশীল।তার উপর চলছে করোনা আবহ।কারও বাড়িতে টিউবওয়েল থাকলেও এই পরিস্থিতিতে জল আনতে যাওয়াটাও একটা সমস্যা বলে দাবি তাদের।এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা পিয়ালী বসু,সুদীপ ঘোষরা বলেন,‘তিনদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে পিএইচইর জলপ্রকল্পটি।স্বাভাবিক কারণেই বেশ সমস্যা তৈরী হয়েছে সাধারণ মানুষজনের।কারণ পাণীয় জল ছাড়া তো দিনই চলে না।তার উপর করোনা পরিস্থিতি চলছে।একে অপরের বাড়িতে যাওয়ার সেই ব্যাপারটাও এখন অনেকটাই কম।এই জলকষ্টের কথা স্থানীয় পন্চায়েতকে বেশ কয়েকবারই জানানো হয়েছে।’এই বিষয়ে স্থানীয় উপপ্রধান শুভেন্দু মল্লিক বলেন,‘ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরী হয়েছে।বিদ্যুৎ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।পিএইচই-র জল প্রকল্পটির দায়িত্বে রয়েছেন পন্চায়েত সমিতি।খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।